ভ্রান্তি: আবেগের বহিঃপ্রকাশ, বিশেষত কান্না, চরিত্রগত দুর্বলতার লক্ষণ।
বাস্তবতা: আবেগ চেপে রাখার চেয়ে প্রকাশ করা ভালো। দীর্ঘ দিন ধরে আবেগ চেপে রাখলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ভ্রান্তি: পেশাদার মনোবিদ বা মনোবিশেষজ্ঞের সাহায্য চাওয়া মানেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ‘উন্মাদ’।
বাস্তবতা: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য পেশাদার সাহায্য নেওয়া ভুল নয়। বরং, এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ।
ভ্রান্তি: মানসিক সমস্যা কোনও বাস্তবিক সমস্যাই নয়।
বাস্তবতা: মানসিক সমস্যাগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। অবসাদ, উদ্বেগ, বাইপোলার ডিসঅর্ডার থেকে শুরু করে স্কিৎজোফ্রেনিয়া-সহ একাধিক মানসিক সমস্যা মানুষকে কষ্ট দিতে পারে।
ভ্রান্তি: নিজের সমস্যা অন্য কারও সঙ্গে আলোচনা করা মানে সে আসলে দুর্বল।
বাস্তবতা: নিজের সমস্যা অন্যের সঙ্গে আলোচনা করলে সাহায্য মিলতে পারে। এটি দুর্বলতার লক্ষণ নয়।
ভ্রান্তি: নির্দিষ্ট কয়েক ধরনের মানুষেরই মানসিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
বাস্তবতা: যে কোনও বয়স, লিঙ্গ, জাত নির্বিশেষে যে কোনও মানুষ মানসিক অসুস্থতার শিকার হতে পারে।
ভ্রান্তি: থেরাপি বা কাউন্সেলিং যে কেউ করতে পারেন।
বাস্তবতা: থেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পেশাদারের সাহায্য নেওয়া উচিত।
ভ্রান্তি: কাউন্সেলিং বা থেরাপি শুরু করলে সেখান থেকে বেরোনো সম্ভব নয়।
বাস্তবতা: থেরাপি বা কাউন্সেলিংয়ের একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। মেয়াদ শেষ হলে থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলর নিজেই সেটি বন্ধ করে দেন।
উপসংহার
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি গুরুতর। এগুলিকে অবহেলা করা উচিত নয়। ভ্রান্তির কারণে এই সমস্যাগুলি থেকে মানুষ নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। কিন্তু সঠিক তথ্য ও সচেতনতার মাধ্যমে এই ভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া যেতে পারে।
কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা ও থেরাপি রয়েছে।
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি থেকে সেরে ওঠা সম্ভব।
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণগুলি কী কী?
- দীর্ঘ সময় ধরে দুঃখ, হতাশা বা রাগ অনুভব করা।
- ঘুমের সমস্যা, ক্ষুধামন্দা বা অতিরিক্ত খাওয়া।
- আত্মবিশ্বাসের অভাব বা কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা।
- আত্মহত্যার চিন্তা বা আচরণ।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে কী কী করা উচিত?
- নিজের সমস্যাগুলিকে গুরুত্ব দিন এবং সাহায্য চাইতে দ্বিধা করবেন না।
- পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সমর্থন নিন।
- একজন পেশাদার মনোবিদ বা মনোবিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।