বাংলা-রচনা | Bengali Essay | প্রবন্ধ রচনা

 শিক্ষা প্রসঙ্গ ( বাংলা রচনা  )

1.  সমাজ কল্যাণে ছাত্র সমাজ  রচনা 

2.  ছাত্র জীবনে নিয়ম নিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা (The need for adherence to rules in student life)

3.  মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চা (Teaching through Mother Language)

4.  জনসমাজে বিজ্ঞানচেতনা প্রসারে ছাত্র সমাজের ভূমিকা (The role of student in spreading science consciousness in the society)

5.  মাতৃভাষায় শিক্ষাদান (Teaching Through Mother Language)

6.  শিক্ষার মাধ্যমরূপে মাতৃভাষা (MOTHER TONGUE AS A MEDIUM OF EDUCATION)

7.  শিক্ষায় ও আনন্দে দেশ ভ্রমণ (Travelling as a Part of Education)

8.  সাহিত্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা (Importance of Reading Literature)

9.  শিক্ষাবিস্তারে গ্রন্থাগারের ভূমিকা (The Role of Libraries in Education)

10.  শিক্ষার বিকিরণ গ্রন্থাগার (LIBRARY)

11.  নিরক্ষরতা দূরীকরণ ( Elimination of Illiteracy)

12.  কুসংস্কারের অভিশাপ ( The Curse of Superstition)

13.  কুইজ কনটেস্টের উপযোগিতা  (Importance of Quiz Contest)

14.  সমাজ জীবনে সংবাদপত্রের ভূমিকা (The Role of Newspapers in Social Life)

15.  পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা (Importance of Library)

16.  ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা (Requirements for History Lessons)

17.  জনমত-গঠনে গণমাধ্যম (ROLE OF MEDIA)

18.  সর্বশিক্ষা অভিযান ও পশ্চিমবঙ্গ (SARVA SHIKSHA ABHIYAN AND WEST BENGAL)

19.  আমার প্রিয় গ্রন্থ (MY FAVORITE BOOK)

20.  পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা (IMPORTANCE OF LIBRARY)

21.  দেশভ্রমণ শিক্ষার অঙ্গ (TRAVELING IS PART OF EDUCATION)

বিজ্ঞান ( বাংলা রচনা  )

1.   প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান (Science in Everyday Life)

2.  বিজ্ঞান ও মানব সভ্যতা ( Science and Human Civilization)

3.  কুসংস্কারের অভিশাপ ( The Curse of Superstition)

4.  মাতৃভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চা (Teaching through Mother Language)

5.  তোমার জীবনের লক্ষ্য (The Goal of Your Life) (ডাক্তার)

6.  বিদ্যালয় জীবনের একটি স্মৃতি (A Memory of School Life)

ভারত ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ ( বাংলা রচনা  )

1.  ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছাত্র সমাজের দায়িত্ব ( The Responsibility of the Students in the Economic Development of India)

2.  ভারতের শিক্ষা বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা/ভারতের লোকশিক্ষার বর্তমান রূপ ( The role of the Media in Spreading Education)

3.  বৈচিত্রময় ভারত (Diverse India)

4.  ভারতের বেকার সমস্যা (India’s Unemployment Problem)

5.  পালস পোলিও টিকাকরণ (PULSE POLIO VACCINATION)

পশ্চিমবঙ্গ ( বাংলা রচনা)

1.  কন্যাশ্রী প্রকল্প

2.  বাংলার উৎসব (Festival of Bengal)

3.  বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ( Cultural Heritage of Bengal)

4.  বঙ্গ প্রকৃতিতে ঋতুরঙ্গ ( Season in Bengal)

5.  বারো মাসে তেরো পার্বণ (Bengali Festivals)

6.  বাংলার মেলা ও একটি স্থানীয় উৎসব (Bengals Fair and a Local Festival)

7.  বাংলার একটি গ্রামের চিত্র/ আমার প্রিয় গ্রাম(My Village)

8.  কলকাতার পাতাল রেল (Kolkata Metro)

9.  পশ্চিমবঙ্গের বন্যা ও প্রতিকার (Floods in West Bengal and Tackling)

10.  সর্বশিক্ষা অভিযান ও পশ্চিমবঙ্গ (SARVA SHIKSHA ABHIYAN AND WEST BENGAL)

খেলাধুলা ( বাংলা রচনা )

1.   চরিত্র গঠনে খেলাধূলার ভূমিকা বাংলা রচনা ( The Role of Sports in Character Formation)

ছাত্রজীবনের নানা প্রসঙ্গ ( বাংলা রচনা )

1.  মানব জীবনে শখ বা ‘হবি’

2.  বিশ্ব শিশু দিবস (SSC HSC) : রচনা

3.  ছাত্র জীবনে নিয়ম নিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা (The need for adherence to rules in student life)

4.  ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছাত্র সমাজের দায়িত্ব ( The Responsibility of the Students in the Economic Development of India)

5.  সমাজের প্রতি ছাত্রদের কর্তব্য (The Duty of the Students towards the Society)

6.  ছাত্র জীবন এবং শৃঙ্খলা বোধ  (Student Life and Discipline)

7.  তোমার জীবনের লক্ষ্য (The Goal of Your Life) (ডাক্তার)

8.  বিদ্যালয় জীবনের একটি স্মৃতি (A Memory of School Life)

9.  সংস্কৃতি-অপসংস্কৃতি ও যুবসমাজ (CULTURE – UNCULTURE AND YOUTH)

10.  আমার জীবনের লক্ষ্য (THE GOAL OF MY LIFE) (farmer)

11.  আমার প্রিয় গ্রন্থ বাংলা রচনা (MY FAVORITE BOOK)

পরিবেশ রচনা

1.  অরণ্য প্রাণী সংরক্ষণ  (Wildlife Conservation)

2. জল সংকট ও সংরক্ষণ

3. পরিবেশ দূষণ (ENVIRONMENTAL POLLUTION)

সাম্প্রতিক রচনা সংকলন

1.  সন্ত্রাসবাদ ও তার কুফল  (Terrorism and its Evil)

2.  নগরজীবনের কুশ্রীতা ও তার দূরীকরণের উপায় বাংলা রচনা ( The Ugliness of City Life and the Way to Eliminate it)

3.  ড্রাগের নেশা সর্বনাশা (DRUG INTOXICATION IS A DISASTER)

4.  একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় (A NATURAL DISASTER)

ভাবনা

1.  একটি নির্জন দুপুর  (A Secluded Afternoon)

2.  একটি নদীর আত্মকথা (Autobiography of a River)

3.  বর্ষায় কলকাতার রাস্তায় একজন নিঃসঙ্গ মানুষ/ জলমগ্ন রাস্তায় একাকী একদিন  বাংলা রচনা (One Day Alone on a Submerged Road)

4.  তোমার জীবনের লক্ষ্য (The Goal of Your Life) (ডাক্তার)

5.  বিদ্যালয় জীবনের একটি স্মৃতি (A Memory of School Life)

6.  জীবনের মূল্য আয়ুতে নহে কল্যাণ পুত কর্মে (THE VALUE OF LIFE IS NOT IN LIFE BUT IN WORKS)

7.  একটি প্রাচীন জলাশয়ের আত্মকথা (AUTOBIOGRAPHY OF AN ANCIENT RESERVOIR)

8.  আমার প্রিয় গ্রন্থ (MY FAVORITE BOOK)

9.  একটি বর্ষণমুখর দিন (A RAINY DAY)

10.  একটি নদীর আত্মকাহিনী – বাংলা রচনা  (New)

ভ্রমণ – মেলা – প্রদর্শনী (রচনা)

 1.  বারো মাসে তেরো পার্বণ (Bengali Festivals)

2.  বাংলার মেলা ও একটি স্থানীয় উৎসব বাংলা রচনা (Bengals Fair and a Local Festival)

3.  দেশ ভ্রমণ (TRAVELLING)

নানা প্রসঙ্গ

1.  কলকাতার পাতাল রেল (Kolkata Metro)

2.  নগরজীবনের কুশ্রীতা ও তার দূরীকরণের উপায় ( The Ugliness of City Life and the Way to Eliminate it)

 

উন্নয়ন প্রসঙ্গ

1.  সমাজ কল্যাণে ছাত্র সমাজ

সমাজ- স্বদেশ

1.  সমাজ জীবনে সংবাদপত্রের ভূমিকা (The Role of Newspapers in Social Life)

মহৎ জীবন

1.  এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A. P. J. Abdul Kalam)

2.  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: বাংলা সাহিত্যের বিশ্বকবি – রচনা

3.  মহান ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকার (SACHIN TENDULKAR, THE GREAT CRICKETER)

ধর্ম-দর্শন

মানবিধিকার ও সমাজিক আইনকানুন

গণমাধ্যম

1.  সমাজ জীবনে সংবাদপত্রের ভূমিকা (The Role of Newspapers in Social Life)

2.  পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা (Importance of Library)

3.  শিক্ষাবিস্তারে গ্রন্থাগারের ভূমিকা (The Role of Libraries in Education)

4.  শিক্ষার বিকিরণ গ্রন্থাগার (LIBRARY)

সাহিত্য-সংস্কৃতি

1.  বাংলার উৎসব (Festival of Bengal)

প্রাকৃতিক বিপর্যয়

1.  পশ্চিমবঙ্গের বন্যা ও প্রতিকার (Floods in West Bengal and Tackling)

2.  একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় (A NATURAL DISASTER)

রচনা

রচনা হলো একটি সৃজনশীল লেখার ধরন, যাতে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর একটি বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়। রচনায় লেখক তার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, এবং দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করে পাঠকদের বিষয়টি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে।

রচনায় সাধারণত নিম্নলিখিত উপাদানগুলি থাকে:

  • ভূমিকা: রচনাটির উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে পাঠকদের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া।
  • দেহ: বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
  • উপসংহার: রচনার মূল বিষয়গুলির একটি সংক্ষিপ্ত পুনরাবৃত্তি এবং পাঠকদের জন্য একটি মন্তব্য বা উপদেশ।

রচনা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:

  • বর্ণনামূলক রচনা: কোন ব্যক্তি, স্থান, বস্তু, বা ঘটনার একটি বিস্তারিত বর্ণনা।
  • ব্যাখ্যামূলক রচনা: কোন বিষয়ের উপর একটি বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা।
  • যুক্তিমূলক রচনা: কোন বিষয়ে একটি যুক্তিসঙ্গত বক্তব্য।
  • অনুপ্রেরণাদায়ক রচনা: পাঠকদের অনুপ্রাণিত করার জন্য একটি লেখা।
  • কাল্পনিক রচনা: কোন কাল্পনিক ঘটনা বা চরিত্রের উপর ভিত্তি করে একটি লেখা।

রচনা লেখার জন্য কিছু সাধারণ টিপস হলো:

  • বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন যা আপনি সম্পর্কে আগ্রহী এবং জানেন।
  • আপনার গবেষণা করুন এবং আপনার বিষয় সম্পর্কে একটি দৃঢ় বোঝাপড়া অর্জন করুন।
  • আপনার লেখার একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।
  • আপনার ভাষা পরিষ্কার এবং সংক্ষিপ্ত রাখুন।
  • আপনার রচনাটি সম্পাদনা এবং সংশোধন করুন।

রচনা একটি শক্তিশালী যোগাযোগের দক্ষতা, যা আপনাকে আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলিকে কার্যকরভাবে প্রকাশ করতে সাহায্য করতে পারে। রচনা লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার লেখার দক্ষতা উন্নত করতে পারেন, আপনার সৃজনশীলতা বিকাশ করতে পারেন, এবং আপনার চিন্তাশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।

প্রবন্ধ রচনা কিভাবে লিখতে হয় ?

প্রবন্ধ রচনা লেখার কোনো বাধা ধরার নিয়ম নির্দেশ করা যায় না । কারণ প্রবন্ধ হচ্ছে কোন বিষয় সম্পর্কে লেখকের এর জ্ঞান, ধারণা ও সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশ। জ্ঞান, ধারণা, সিদ্ধান্ত কি রকমের হবে এবং তিনি কীভাবে তা প্রকাশ করবেন তা নির্ভর করে লেখোকের প্রকাশ ক্ষমতার উপর । তবে নিয়মিত অভ্যাস ও সব সময় অনুশীলন করে লেখক তার জ্ঞান, চিন্তা এবং প্রকাশ ক্ষমতা বাড়াতে পারেন। এজন্য প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম বলতে অভ্যাস ও অনুশীলন সম্পর্কে কয়েকটি সূত্র দেয়া যেতে পারে ।

যেকোনো প্রবন্ধের সাধারণত দুটি দিক থাকে। একটি হলো বিষয়গত, অন্যটি হলো রূপগত ।

রচনার বিষয়গত দিক :

বিষয় গত দিক বলতে বোঝায় প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তু, তার উপস্থাপনা, উপস্থাপনা গত যুক্তিতর্ক ও তথ্যের আলোচনা। বিষয় গত দিক থেকে যেকোন প্রবন্ধ তিনটি ভাগে বিভক্ত। ভূমিকা ,মূল বিষয়, উপসংহার।

যে বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতে হবে সেই বিষয় সম্পর্কে আমাদের চিন্তা ও বক্তব্য কে তিনটি ভাগে ভাগ করে নিতে হবে । যদি প্রশ্নপত্রে বিষয় সংকেত দেওয়া থাকে তাহলে ওই সংকেতগুলিকে মনে মনে তিনটি অংশে সাজিয়ে নিতে হবে। এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে কিছু দরকারি কথা জেনে রাখা দরকার।

1) ভূমিকা

ভূমিকায় মূল বিষয়টি সূচনা মাত্র করতে হবে তাই ভূমিকা লিখতে হবে খুব সংক্ষিপ্ত করে । একটি ছোট অনুচ্ছেদ লিখলেই চলবে তবে ভূমিকাটি এমনভাবে লিখতে হবে যাতে মূল বিষয়টি পড়তে পাঠকের আগ্রহ জন্মায়।

2) মূল রচনা

বিরাম চিহ্ন

প্রকৃতপক্ষে এটাই মূল প্রবন্ধ। এজন্য সম্পূর্ণ প্রবন্ধ টির মধ্যে এই অংশটি আকারে বড় হবে। আর বড় হবে বলেই এই অংশটি সাজানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন আছে। সাজানোর আগে দরকার হলে প্রশ্নপত্রটি বেশ কয়েকবার পড়ে বুঝে নিতে হবে ঠিক কী বিষয়ে লিখতে বলা হয়েছে। একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা আরো পরিষ্কার করে বোঝানো যেতে পারে। যেমন ধরা যাক ভারতীয় জনজীবনে রেলগাড়ির প্রভাব এ বিষয়ে রচনা লিখতে বলা হয়েছে। সেখানে তোমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অথবা ভারতে রেলপথ বা রেলগাড়ির আবিষ্কারের ইতিহাস সম্পর্কে লেখা চলবে না। যদি মূল অংশে পাঁচটি অনুচ্ছেদ লেখ তবেতো তিন-চতুর্থাংশ জনজীবনে রেলগাড়ি প্রভাব এবং এক-চতুর্থাংশ বরাদ্দ থাকবে বাকি বক্তব্যের জন্য।

মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যে বিষয়ে রচনা লিখতে বলা হয় সেই বিষয়ে কতগুলি পূর্বনির্দিষ্ট সংকেত দেওয়া থাকে। এই সংকেত গুলি কে ভিত্তি করেই প্রবন্ধের একেকটি প্যারাতে এক একটি বক্তব্য উপস্থাপিত হয় । লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে প্রবন্ধের বক্তব্যে যেন ঐ সমস্ত সংকেত অবশ্যই উল্লিখিত থাকে। সংকেত এর বাইরে কোনো বক্তব্য না লেখাই ভাল ।

3) উপসংহার

ভূমিকা যেমন মূল বক্তব্য সম্পর্কে পাঠকের কৌতূহল জাগায় উপসংহার তেমনি মূল বক্তব্য সম্পর্কে পাঠকের আগ্রহ বোধ কে পরিতৃপ্ত করে। তাই ভূমিকার মত উপসংহার লেখার সময় বিশেষভাবে সাবধান থাকতে হয়। ঠিকমতো উপসংহার লিখতে গেলে যে সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা যায় তা হল – সমস্ত প্রবন্ধে যে যুক্তি জাল বিস্তার করা হয়েছে তার সারাংশ রচনা, মূল বিষয় সম্পর্কে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অবতারণা, উপযুক্ত উদ্ধৃতি প্রদান, মূল বিষয় সম্পর্কে তোমার সিদ্ধান্তকে প্রকাশ করে এমন কোন চমকপ্রদ বাক্য ব্যবহার করা।

রচনার রূপগত দিক :

রূপ কত দিক বলতে বোঝায় প্রবন্ধের শব্দপ্রয়োগ, বাক্য সাজানোর কায়দা, অনুচ্ছেদ রচনা, ভাষারীতি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য কে বোঝায়। ভালোভাবে প্রবন্ধ লিখতে গেলে বস্তুগত ও রূপ কত দুদিকেই দিকে নজর দিতে হবে।

বিষয়গত লীগের মতোই রূপগত দিকগুলোকে ও চারটি ভাগে ভাগ করতে পারি। এগুলি হল যথাক্রমে গদ্যরীতি, শব্দ বাক্য – বাগভঙ্গি, অনুচ্ছেদ, বিরাম চিহ্ন। এবারে এগুলি কিভাবে প্রবন্ধে প্রয়োগ করবে জেনে নেওয়া যাক।

গদ্যরীতি –

সাধুবাদ চলিত যেকোনো রকম গদ্য ভাষাতেই প্রবন্ধ লেখা যায় । তবে যে রকমের গদ্যভাষা ব্যবহার করবে (সাধু হলে পুরোটাই সাধু চলিত হলে পুরোটাই চলিত ) আগাগোড়া সেই ভাষাতেই রচনা লিখবে কখনোই সাধু-চলিত মেশাবে না। সাধু চলিত মিশিয়ে লিখলেই সেটাই হবে মারাত্মক ভুল।

শব্দ বাক্য-বাগভঙ্গি –

তোমার বক্তব্যকে এমনভাবে প্রকাশ করবে যাতে মূল বিষয়টি পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়। এর জন্য যা করতে পারো তাহলে খুব বড় এবং বাক্যাংশ সমন্বিত বাক্য এর পরিবর্তে ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার করা। উপমা, অলংকার পূর্ণ ভাষায় না লিখে সহজ শব্দ ও সহজে বোঝার মত বাক্যাংশ ব্যবহার করতে হবে। তবে তার মধ্যে তোমার বক্তব্যকে জোরালো এবং তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার জন্য উপমা পূর্ণ ভাষা আর কোন মনীষীর বক্তব্য উল্লেখ করতে পারো। বারবার একই শব্দ আর উপমা ব্যবহার করবে না। যেখানে একটি শব্দ ব্যবহার করলেই চলে সেখানে বেশি শব্দ ব্যবহার করবে না। প্রথম যখন অভ্যাস করবে তখন কোন বড় লেখককে যদি তুমি আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করো তাহলেও তুমি নিজের লেখার একটা বিশেষ ক্ষমতা কে আয়ত্ত করবে, প্রবন্ধে লেখক হিসাবে এটাই হবে তোমার নিজস্ব রীতি।

অনুচ্ছেদ

অনুচ্ছেদ প্রবন্ধ রচনা একটি খুব বড় প্রয়োজনীয় উপকরণ। এর মাধ্যমেই যিনি রচনাটি লিখছেন তার বক্তব্য একের পর এক বর্ণিত হয়ে থাকে। যে বিষয়ে রচনাটি লেখা হচ্ছে সেই বিষয়ের গুরুত্ব অনুযায়ী অনুচ্ছেদ গুলি আকারে ছোট অথবা বড় হবে। যদি আমরা কোন চিন্তা মূলক বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতে বসি তবে তা আকারে একটু বড় হবে। আবার যদি কোন বর্ণনামূলক বিষয় (যেমন তোমার দেখা একটি মেলার বর্ণনা) প্রবন্ধ লেখা হয় তবে অনুচ্ছেদ গুলি আকারে একটু ছোট হলে ভালো হয় যাতে পাঠক খুব সহজেই পরের ঘটনার দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন। অনুচ্ছেদ আকারে ছোট বা বড় যাই হোক না কেন তা লেখার সময় কিছু কথা মনে রাখতেই হবে যেমন একটি অনুচ্ছেদ একটির বেশি ভাব প্রকাশ করবে না, অনুচ্ছেদের প্রথম বাক্যটি তাই সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদের মৌলি বক্তব্যটিকে প্রকাশ করবে এবং অনুচ্ছেদ এর পরের বাক্যগুলোতে তোমার মূল বক্তব্যটিকে যুক্তি তথ্য ও উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেবে, এ জন্য প্রত্যেকটি বাক্যকে উপযুক্ত অব্যয় সর্বনাম ও বাক্যাংশ দিয়ে সম্বন্ধযুক্ত করবে, এক একটি অনুচ্ছেদ এর শেষ বাক্যটি এমন ভাবে লিখবে যাতে তার সূত্র ধরে পরের অনুচ্ছেদটি শুরু করা যায়।

শুধু সুনির্বাচিত শব্দের পর শব্দ বসিয়ে গেলেই অর্থ হয় না। শব্দ ও অনুচ্ছেদ গুলো একের পর এক অর্থ অনুযায়ী সাজালে অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। আর এই ব্যবধান বোঝানোর জন্য চাই দরকারমতো বিরাম চিহ্ন। বিরাম চিহ্নের ব্যবহার ঠিক মত হলে বাক্যের অর্থ সহজেই বোঝা যাবে। তা না হলে বাক্য দুর্বোধ্য হয়ে উঠবে । এজন্য প্রবন্ধ লিখতে হলে আমাদের বিরাম চিহ্নের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

সবশেষে প্রবন্ধ রচনা সম্পর্কে একটা শেষ কথা যে প্রবন্ধের বিষয় গত দিকের উৎকর্ষের জন্য ভালো বই এবং সংবাদপত্র পড়তে হবে। কারণ পড়াশোনা আর অভিজ্ঞতার সীমা আমরা যতই বাড়াতে পারব তত চিন্তা শক্তি বাড়বে। এই প্রবন্ধের রূপগত শিক্ষার উন্নতির জন্য ভাষার দখল বাড়াবার দিকে নজর দিতে হবে।

Visit IGNOU Forum for any IGNOU related queries.

0 thoughts on “Essay”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা রচনা | প্রবন্ধ রচনা (Bengali Essay)

0 thoughts on “Essay”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top