মহাকাশের অন্যান্য উজ্জ্বল নক্ষত্র গুলির মধ্যে অন্যতম হলো সূর্য । সমস্ত গ্রহের মতো সূর্যালোক পৃথিবীও আলোকিত হয়। কিন্তু দিনের শেষে সূর্যাস্তের আগে পৃথিবীকে আলোকিত করার ভার কে নেবে সূর্য তা জিজ্ঞাসা করলে, পৃথিবীতে ফুটে ওঠে এক নিরুত্তর ছবি। যা খুবই হতাশাজনক। কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তে ক্ষুদ্র মাটির প্রদীপ পৃথিবীকে আলোকিত করার ভার নিয়ে ঘোষণা করে যে , সে তার সাধ্যমত তার দায়িত্ব পালন করবে । যা খুবই আশাপ্রদ।
আমাদের এই পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা সাধারন মানুষের মঙ্গলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তারা নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যের মঙ্গলের জন্য নিজেদের প্রায় সর্বস্ব দান করেন। কিন্তু এই পৃথিবীতে অনেক নিয়ম ও কর্তব্য রয়েছে যা কোন একজন ব্যক্তির পক্ষে করা সম্ভব নয় । তাই এই কাজগুলি সুস্থ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেকের আন্তরিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পৃথিবীর স্বাভাবিক কর্তব্য পালনের প্রসঙ্গ উত্থিত হলেই পৃথিবীতে এক নিরুত্তর , নিরুৎসাহ, অসহযোগিতামূলক মনোভাবাপন্ন ছবি ফুটে ওঠে। যা কখনোই আশাপ্রদ নয় । প্রতিটি মানুষ তার ক্ষুদ্র সামর্থের অজুহাতে মহান কর্তব্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
প্রত্যেকের কিন্তু মনে রাখা উচিত যে সামর্থ্য যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন আন্তরিক উৎসাহই সবথেকে বড় ক্ষমতা । যা মানুষকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। পৃথিবীর সকল ব্যক্তির যদি কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে আন্তরিক উৎসাহ থাকে তবে সামর্থ্য ক্ষুদ্র হওয়া সত্বেও সব কাজ ঠিকমত করা সম্ভব হয় । তাই সকলের নিজের আত্মশক্তি ও আন্তরিক উৎসাহে ভরসা রেখে নিজের নিজের জীবনপথের কঠিন কর্তব্য গুলি পালনে এগিয়ে আসা উচিত।