দেশ ভ্রমণ রচনা(Travelling)

ভূমিকা

বৈচিত্র্যপূর্ণ এই বিশ্বের সুপ্রাচীন কাল থেকেই দেশ ভ্রমণের সূচনা। অদেখা কে দেখা,আজানাকে জানা আর অচেনাকে চেনা দুর্নিবার অগ্রহে সাহসী ,আত্মপ্রত্যয়ী, বৈচিত্র সন্ধানী চলিষ্ণু মানুষের ভ্রমণ ছিল অব্যাহত।

দেশ ভ্রমণ ও জ্ঞান অর্জন

জ্ঞান অর্জন স্পীহায় উৎসুক ছাত্রীরা দেশ-দেশান্তরে পাড়ি দিয়েছেন, রাজারা বেরিয়েছেন দ্বিগবিজয় বণিকরা বাণিজ্যতরীচালিয়েছেন অকুল অন্তর সমুদ্রে।

দেশ ভ্রমণ ও শান্তি ও মৈত্রী বাণী প্রচার

বিশ্বব্যাপী শান্তি আর মৈত্রীর বাণী প্রচার করেছেন ধর্মপ্রচার কেরা। পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস, ফা- হিয়েন, হিউয়েন- সাঙ ভারতবর্ষে এসেছেন।

ভূপর্যটক

দুঃসাহসিক অভিযানের সামিল হয়েছেন কলম্বাস, ভাস্কো-দা-গামা, আমেরিকা ভেসপুচি, হ্যারি জনস্টন, মার্কোপোলো, হাডসন, স্কট এর মত অভিযাত্রীরা ভূপর্যটক কুক-ম্যাংলিন, স্টানলিলিভিংস্টোন এর কথা ও সুবিদিত।

দেশ ভ্রমণ অ্যাডভেঞ্চার

নিছক আনন্দ আহরণের তাগিদেও ঘরের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়েছে সাধারণ মানুষ। সুউচ্চ পর্বত শৃঙ্গের সে তার স্পর্ধিত পদচিহ্ন এঁকে দিয়েছে , উড়িয়ে দিয়েছে তার বিজয় পতাকা। জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে নিজের আধিপত্য কায়েম করেছে।

দেশ ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প

প্রতিকূল আর ঝুঁকিপূর্ণ পথে ভ্রমণ আধুনিক যুগের নানাবিধ আবিষ্কারের সুবাদে এখন অনেকের নিরাপদ,সুখকর, স্বছন্দ ও সুপরিকল্পিত, হয়ে উঠেছে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ভ্রমণ স্থানগুলিতে বিলাসবহুল হোটেল,লজ ,গেস্ট হাউস, রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠার পাশাপাশি তে থাকার সুবিধা ও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। দ্রুতগামী সব যানবাহন ভৌগলিক দূরত্ব অতিক্রম কে সহজে ও অনায়াসসাধ্য করে দিয়েছে। এইভাবে পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব গড়ে তোলে।

দেশ ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা

ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য জানা : ভ্রমণের মধ্য দিয়ে আমরা কোন বিশেষ অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সেখানকার দার্শনিক স্থান ও মূল্যবান ঐতিহাসিক উপাদান গুলি সম্পর্কে অবস্থিত হই।

সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য জানা : সেখানকার মানুষজনের জীবনযাত্রা, সভ্যতা- সংস্কৃতি ঐতিহ্য, উৎসব- অনুষ্ঠান, পোষাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস স্থাপত্য ভাস্কর্য, চিত্রকলা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, এসবের সঙ্গে পরিচিত হই।

শিক্ষা সংস্কৃতি ও ভাবের বিনিময় : আমাদের এই পর্যবেক্ষণ ও উপলব্ধির মধ্য দিয়ে হৃদয়ের প্রসারতা বাড়ে পরস্পরের মধ্যে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ভাবের বিনিময় হয়।

সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বিনিময় : দেশ-বিদেশের মানুষের সান্নিধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বিনিময় বাতাবরণ রচিত হয়,কূপমন্ডুকতা ঘূচে স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে।

ভ্রমণ সাহিত্য : বই পড়ার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ, প্রাণবন্ত ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। পুথি সর্বস্ব নীরস তথ্যনির্ভর শিক্ষার আবেষ্টন ছেড়ে আমরা নতুন চেতনায় ভাস্বর হয়ে উঠি। ভ্রমণ সাহিত্যের ধারা টি ও অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিদেশ ভ্রমণ বৃত্তান্ত পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষ ভ্রমণের অপার আনন্দ লাভ করে থাকি।


অনুরূপ রচনা (Similar Essay)

শিক্ষায় ও আনন্দে দেশ ভ্রমণ (Travelling as a Part of Education)


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts
Scroll to Top